Hotline: +1-(469) 844-0177
No products in the cart.
বিষয়ঃ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হালাল বাজারের উদ্যোগে অনলাইন কোরবানী সুহৃদ শুভেচ্ছা নিরন্তর। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের থাবায় এক সঙ্কটসময় পার করছে। এরই মধ্যে জাতির সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা হাজির হয়েছে কোরবানীর মহিমা নিয়ে। এবারের কোরবানীর পশুর হাট নিয়ে সরকারের রয়েছে নানা নির্দেশনা, এছাড়া করোনার ভয়তো রয়েছেই জনগণের মনে। এই অবস্থায় পশুর হাটে যাবার ঝুঁকি ও কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণের এক দারুণ নিরাপদ উদ্যোগ নিয়েছে হালাল-বাজার ডট কম। নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে হালাল-বাজার টিম এ বছর আগ্রহীদের পক্ষ হয়ে কোরবানীর সম্পূর্ণ দায়িত্ত্ব নিতে চালু করেছে 'অনলাইন কোরবানী'র সুবিধা। পশুর হাটের ভিড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি, পশু কোরবানীর কসাই খোঁজা, পশু কোরবানী করা, মাংস প্রস্তুত এবং গরিবদের মধ্যে বিতরণের পুরো দায়িত্ব আপনার পক্ষ থেকে হালাল বাজারের কর্মীরা পালন করবেন। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা ও ধর্মীয় আচার পালন সবই হবে সঠিক উপায়ে। কোরবানীর নিয়তে নির্দিষ্ট পরিমাণ হাদিয়া প্রদান করে এক নামে বা একাধিক নামে/ভাগে কোরবানীর এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন যে কেউ। টেক জায়ান্ট গুগলের সাবেক কর্মী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. আনোয়ারুস সালামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হালাল-বাজার ডট কমের অনলাইন কোরবানী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে ড. আনোয়ারুস সালাম বলেন, সকলের জন্য যথাযথভাবে কোরবানী পালন এবং এই কোরোনাকালে বেশি সংখ্যক মানুষকে সাহায্য করার লক্ষ্যে হালাল-বাজার তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দেশে এবং বিদেশে অনেকেই এই কার্যক্রমকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। স্বাস্থ্যকর গরু ও ছাগল কেনা থেকে শুরু করে পরবর্তী সব ধাপ সম্পন্ন করা হবে হালাল-বাজারের প্রশিক্ষিত কসাই ও বিতরণ কর্মীদের তত্ত্বাবধানে ধর্মীয় রীতি মেনে। প্রদত্ত নামে কোরবানীর পশুর ছবি, কোরবানীর ছবি-ভিডিও প্রদান করা হবে, যদি কেউ চান। ঈদুল আজহার দিনে ওই কোরবানীর মাংস যথাযথ সামাজিক দূরত্ব অনুসরন করে বাংলাদেশের দরিদ্র, অভাবী এবং অনাথ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে এই অনলাইন কোরবানী কার্যক্রমের বিপরীতে গরুর ভাগের জন্য ৯৫ ডলার বা সমমানের টাকা এবং একটি ছাগলের বিপরীতে ৯৯ ডলার বা সমমানের টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হালাল-বাজারের সম্পূর্ণ অলাভজনক ও সেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে পবিত্র কোরবানীর কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.halal-bazaar.com/
We perform Qurbani in your given names and distribute meat to needy and orphan people in Bangladesh on Eid-ul-adha!
করোনায় কুরবানি : আপনার করণীয় কী? প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ঘনিয়ে আসছে কুরবানি। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এ কুরবানির। এবারের কুরবানির রূপরেখা কেমন হবে? মহামারির এ সময়ে মানুষের কুরবানির ভাবনা কেমন হওয়া উচিত। এ নিয়ে ইতিমধ্যে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। চলছে আলোচনা-টকশো। করোনায় কুরবানি করায় মানুষের করণীয় কী? এ সম্পর্কেও রয়েছে মানুষের অনেক জিজ্ঞাসা। কুরবানীর ধারণাঃ কুরবানীর সমার্থক শব্দ ‘উদ্হিয়্যাহ’। এর আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায় জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যে পশু জবাই করা হয়, তাকে কুরবানী বলে। বর্তমানে যে কুরবানী প্রথা প্রচলিত আছে, তা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর সময় থেকে চলে আসছে। এটি আত্মত্যাগ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অন্যতম মাধ্যম। এটি একটি উত্তম ইবাদত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কুরবানীর দিনে রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কাজ আল্লাহর নিকট আর কিছুই নেই। কুরবানী দাতা কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু শিং, ক্ষুর ও লোমসমূহ নিয়ে হাজির হবে। কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই তা আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার স্থানে পৌঁছে যাবে। অত:এব তোমরা কুরবানীর দ্বারা নিজেদেরকে পবিত্র কর।” (তিরমিযি শরীফ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।” (ইবনু মাজাহ শরীফ) কুরবানীর ঐতিহাসিক পটভূমিঃ হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তায়ালা বহুবার বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছেন। সকল পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার তিনি এক অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। একরাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানী করতে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে আদেশ করছেন। বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান ইসমাঈল অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় আর কি হতে পারে? অনেক চিন্তাভাবনা করে তিনি শেষ সিন্ধান্তে পৌঁছলেন, আল্লাহ তায়ালা যাতে খুশি হন তাই তিনি করবেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আস সফ্ফাত এর ১০২নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “অত:পর যখন তিনি (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম) তাঁর (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) এর সাথে কাজ করার উপযুক্ত হলেন, তখন (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি। এখন তুমি দেখ তোমার অভিমত কী? (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ চাহেতো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।” ছেলের এ সাহসিকতাপূর্ণ উত্তর পেয়ে নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম খুব খুশি হলেন। আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর গলায় ছুরি চালালেন। এবারের পরীক্ষাতেও হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উত্তীর্ণ হলেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আস সফ্ফাত এর ১০৪ ও ১০৫নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “তখন আমি তাকে আহবান করে বললামঃ হে ইবরাহীম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে।” আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে জান্নাত থেকে একটি দুম্বা এনে ইসমাঈল-এর জায়গায় ছুরির নীচে শুইয়ে দিলেন। হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর পরিবর্তে দুম্বা কুরবানী হয়ে গেল। এ অপূর্ব ত্যাগের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তখন হতে কুরবানী প্রথা চালু হয়েছে। এটি আজ মুসলিম সমাজে একটি পবিত্র ধর্মানুষ্ঠানরূপে স্বীকৃত। কুরবানীর নিয়মাবলি ও বিধিবিধানঃ কুরবানী দাতার করণীয়ঃ যে কুরবানী করতে চায়, সে যিলহজ্জের দশ তারিখ পর্যন্ত তার চুল কাটবে নাঃ উম্মে সালামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার ইচ্ছা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হতে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হতে বিরত থাকে”। [মুসলিম, মিশকাত হাঃ১৪৫৯; নাসাঈ, মির‘আত হাঃ১৪৭৪-এর ব্যাখ্যা, ৫/৮৬ পৃঃ] যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিবঃ প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। নিসাব হলঃ স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫) কুরবানীর সময়ঃ যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত মোট তিন দিন কুরবানীর সময়। তবে সবচেয়ে উত্তম হল প্রথম দিন কুরবানী করা। এরপর দ্বিতীয় দিন এরপর তৃতীয় দিন। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫) ঈদুল আযহার নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। নামায আদায়ের পর কুরবানী করতে হবে। হযরত বারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈদের দিন আমরা প্রথমে নামায আদায় করি। অত:পর ফিরে এসে কুরবানী করি। যে ব্যক্তি এভাবে আদায় করবে সে আমাদের নিয়ম মতো করল। আর যে নামাযের আগেই পশু জবাই করল সেটা তার পরিবারের জন্য গোশত হবে, এটা কুরবানী হবে না। (সহীহ মুসলিম ২/১৫৪) কুরবানীর পশুঃ উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। তদ্রূপ হাঁস-মুরগি বা কোনো পাখি দ্বারাও কুরবানী জায়েয নয়। (কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-“ আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানীর নির্দেশ দিয়েছি। আল্লাহ তাদের রুযি হিসেবে যেসব গৃহপালিত পশু দিয়েছেন তার উপর তারা যেন (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে”। (সূরা হজ্ব : ৩৪) যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। (কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫) কুরবানীর পশুর বয়সঃ উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে। উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। (কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬) হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা (কুরবানীর জন্য) মুসিন্নাহ ব্যতীত যবাই করো না”। (মুসিন্নাহ হল, ৫ বছর বয়সী উট, ২ বছরের গরু ও ছাগলের ক্ষেত্রে ১ বছর [শরহুন নববী]) যদি সম্ভব না হয় তবে ছয় মাস বয়সী ভেড়া বা দুম্বা। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৯৬৩) কুরবানীর পশুতে শরীকের সংখ্যাঃ একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮) হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা একটি গরু এবং একটি উটে সাতজন করে শরীক হয়ে যাই। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১২১৮) সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানী সহীহ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭) উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭) কুরবানীর গোশত বণ্টনঃ শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়। (আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১) কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত নিজে রেখে দেওয়াও নাজায়েয নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০) কুরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম ও দোয়াঃ নিজ হাতে কুরবানী করা উত্তম। ইসলামী শরীয়তে পশু জবাই করার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। (১) জবাইকারী ব্যক্তি মুসলমান হতে হবে। (২) জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে হবে। (৩) পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও গলায় অবস্থিত অন্যান্য রগ ভালভাবে কাটতে হবে। (জাওয়াহিরুল ফিকহ, ২য় খন্ড, ৩৭৫ পৃষ্ঠা।) কুরবানীর পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা পশ্চিম দিকে রেখে অর্থাৎ ক্বিবলামুখী করে শোয়ায়ে পূর্ব দিক থেকে চেপে ধরতে হবে, তারপর কুরবানীর করতে হবে। আর কুরবানী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, সীনার উপরিভাগ এবং কণ্ঠনালীর মাঝামাঝি স্থানে যেন যবেহ করা হয়। আরো উল্লেখ্য যে, গলাতে চারটি রগ রয়েছে, তন্মধ্যে গলার সম্মুখভাগে দুটি- খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটির মধ্যে খাদ্যনালী, শ্বাসনালী এবং দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি অবশ্যই কাটতে হবে। অর্থাৎ চারটি রগ বা নালীর মধ্যে তিনটি অবশ্যই কাটতে হবে, অন্যথায় কুরবানী হবেনা। যদি সম্ভব হয়, তবে ছুরি চালানোর সময় বিজোড় সংখ্যার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কুরবানীর নিয়ত: (যবেহ করার পূর্বে) “ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না ছলাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া ইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়া বি যালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা”। এ দোয়া পড়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর’ বলে যবেহ করতে হবে। যবেহ করার পর এ দোয়া পড়বে- “ আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বালহু মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতা মিন হাবীবিকা সাইয়্যিদিনা রাসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খালীলিকা ইব্রাহীমা আলাইহিস সালাম”। যদি নিজের কুরবানী হয়, তবে منى (মিন্নী) বলতে হবে। আর যদি অন্যের কুরবানী হয়, তবে من (মিন) শব্দের পর যার বা যাদের কুরবানী, তার বা তাদের নাম উল্লেখ করতে হবে। আর যদি অন্যের সাথে শরীক হয়, তাহলে منى (মিন্নী)ও বলবে, অতঃপর من (মিন) বলে অন্যদের নাম বলতে হবে। কেউ যদি উপরোক্ত নিয়ত না জানে, তাহলে জবেহ করার সময় শুধু বিস্মিল্লাহি আল্লাহু আকবর বলে কুরবানী করলেও শুদ্ধ হয়ে যাবে। কারণ নিয়ত অন্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে অবশ্যই প্রত্যেক যবেহকারীর উচিত উপরোক্ত নিয়ত শিক্ষা করা। কেননা উপরোক্ত নিয়ত পাঠ করে কুরবানী করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ( আহমদ, আবূ দাউদ, তিরমীযী, দারিমী ইবনে মাযাহ, বজলূল মযহুদ, মিশকাত, মিরকাত, মুযাহেরে হক্ব, লুমায়াত, ত্বীবী, তালিকুছ ছবীহ, আশয়াতুল লুমায়াত, আলমগীরী, শামী, দুররুল মুখতার, আইনুল হিদায়া) প্রত্যেক মুসলমানদের উচিৎ কুরবানীর সময় একাগ্রতার সাথে উত্তম পশু কুরবানী করা। তাতে তাঁরা অনেক ছাওয়াব পাবে। পরস্পরের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়বে এবং হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষাঃ কুরবানী বলতে শুধু গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ইত্যাদি জবাই করাই বোঝায় না। বরং এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন বোঝায়। কুরবানী আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ ঘোষণা করেন যে, তাদের কাছে নিজ জানমাল অপেক্ষা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মূল্য অনেক বেশি। তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে এর রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর কাছে শপথ করে বলে, “হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেভাবে পশুর রক্ত প্রবাহিত করছি, প্রয়োজনে আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করতেও কুন্ঠিত হব না।” কে কত টাকা খরচ করে পশু ক্রয় করেছে, কার পশু কত মোটাতাজা, কত সুন্দর আল্লাহ তায়ালা তা দেখতে চান না। তিনি দেখতে চান কার অন্তরে কতটুকু আল্লাহর ভালোবাসা ও তাকওয়া আছে। পবিত্র কুরআনের সূরা আল হাজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “কখনো আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না এগুলোর গোশত এবং রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।” আত্মত্যাগ ও আত্মসমার্পনের মূর্তপ্রতীক ছিলেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। মানুষের জীবনে এ শিক্ষা গ্রহন করলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল, পরোপকারী ও আত্মত্যাগী। আত্মত্যাগী মানুষই সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। নিজের সুখ-শান্তির বাইরে যারা সমাজের মানুষের সুখকে বড় করে দেখে, তারাই প্রকৃত মানুষ। কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষা আমাদেরকে পরোপকারে উৎসাহিত করবে ও মানবতাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটাবে। করোনায় কুরবানি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ঘনিয়ে আসছে কুরবানি। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এ করবানি। এবারের কুরবানির রূপরেখা কেমন হবে? কিংবা মহামারির এ সময়ে মানুষের কুরবানির ভাবনা কেমন হওয়া উচিত। এ নিয়ে ইতিমধ্যে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। চলছে আলোচনা-টকশো। রয়েছে অনেক মানুষের জিজ্ঞাসা। কুরবানি সম্পর্কে মানুষের জিজ্ঞাসাগুলো হলো- – এবার করোনায় কুরবানি না করে এ টাকা গরিব-অসহায়দের মাঝে দান করায় কুরবানির হক আদায় হবে কি? – অনেকেই প্রতি বছর স্বাভাবিকভাবেই কুরবানি করতেন, এবার অর্থ সংকটের কারণে কুরবানি করা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের জন্য করণীয় কী হতে পারে? – দেশের বাইরে প্রবাসে এমন অনেক লোক আছেন যারা এবার পরিস্থিতির কারণে কুরবানি করতে পারছেন না, তারা এ দায় থেকে কীভাবে বেঁচে থাকবেন? যারা কুরবানি দিতে পারেন তাদের যেমন সম্পৃক্ততা রয়েছে তেমনি যারা কুরবানি দিতে পারে না এমন সব অভাবি মানুষের সম্পর্কও রয়েছে এ কুরবানির সঙ্গে। তারা সারা বছর গরু/খাশির গোস্ত কিনে খেতে পারেন না। কুরবানির সময়ই তারা চাহিদা মিটিয়ে গোশ্ত খেতে পারেন। আর এতে ধনী-গরিবের মিলন হয় বৈষম্য দূর হয়। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও আন্তরিকতা তৈরি হয়। এমন অনেক ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা যারা কোটি কোটি টাকা কুরবানি উপলক্ষ্যে পশুতে বিনিয়োগ করেছেন। তাদের বিষয়টিও ভেবে দেখতে হবে। কেননা কুরবানির একটি মৌসুমের ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা বছরব্যাপী জীবিকা অর্জন করে থাকে। সুতরাং কুরবানি হচ্ছে- ইবাদত, গরিব-দুঃখীর অধিকার, ব্যবসায়ীর জীবন-জীবিকায় বিনিয়োগ। তাই এসব বিবেচনায় কুরবানি বন্ধ নয়, কুরবানির পশুর হাটও বন্ধ নয় বরং যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি অব্যাহত রাখাই জরুরি। কুরবানি না করে দান করা প্রসঙ্গ যদি কেউ কুরবানি না করে সে অর্থ (টাকা-পয়সা) দান করে দেয় তাতে পশু কুরবানির দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাওয়া যাবে কি না। আর তাতে আমাদের করণীয় কী? ইসলামি শরিয়া ও স্কলারদের মতে, এ বিষয়টিতে সুস্পষ্ট ও সরল উত্তর হলো- কুরবানি না করে এ টাকা দান করে দেয়া হলে কুরবানির আমল বা ইবাদত থেকে দায়মুক্তি হবে না। তাতে কুরবানির হক আদায় হবে না। অন্য একটি জিজ্ঞাসা বিগত বছর কুরবানি দেয়া ব্যক্তি অর্থকষ্টের কারণে এবার কুরবানি দিতে পারছে না, এতে তার করণীয় কী? তাদের জন্য সহজ উত্তর : অন্য বছরগুলোতে কুরবানি দিয়েছেন। কিন্তু এবার অর্থকষ্ট বা অভাবের কারণে কুরবানি দিতে পারছে না, তারা এ বছর কুরবানি দেবেন না। ইসলামি শরিয়াহ কারো সাধ্যের অতিরিক্ত কোনো আমল বা চাপিয়ে দেয় না। ওই আমল করতে বাধ্য করে না। কুরবানিকে সামাজিক ইস্যু মনে করা এমন অনেক লোক আছেন যারা স্বাভাবিকভাবে কুরবানি দেয়ার ক্ষমতা রাখে না। কিন্ত সামাজিক লোক-লজ্জার ভয়ে চরম চাপ নিয়ে কুরবানি করে থাকেন। আসলে সামাজিক লোক-লজ্জার ভয় বা ইজ্জত-সম্মানের কারণে কুরবানি দিতে হয়, এমনটি সঠিক নয়, বরং এটি মানুষের ভুল ধারণা। সুতরাং অর্থকষ্ট থাকলে এবং সামর্থ্য না থাকলে কুরবানি না করায় কোনো সমস্যা নেই। এদের জন্য সুসংবাদ তবে যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকাকালীন সময় কুরবানি পালন করে ইবাদত করেছেন, এখন সামর্থ্য না থাকার কারণে যদি কুরবানি করতে না পারেন, তাতেও আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে কুরবানির সাওয়াব দিয়ে দেবেন। এটি নিয়ে সাময়িক সামর্থ্যহীন ব্যক্তিদের মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই। প্রবাসে অবস্থানকারীদের কুরবানি বিদেশে এমন অনেক মুমিন মুসলমান রয়েছেন, যারা এমন জায়গায় আছেন যেখানে হয়তো কোনো বিধি-নিষেধ, আইনি জটিলতা বা করোনার সংক্রান্ত কোনো কারণে কুরবানি দিতে পারছেন না। তাদের করণীয় কী? তাদের করণীয় হলো- যেখানে অবস্থান করছেন, যদি সেখানে কুরবানি করতে না পারেন তবে নিজ নিজ দেশে কিংবা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কুরবানি করার সুযোগ রয়েছে তাদের মাধ্যমে দায়িত্ব দিয়ে কুরবানি আদায় করা। এভাবে তারা কুরবানির ইবাদত ও আমল থেকে মুক্ত হতে পারবেন। আবার যারা দেশে অবস্থান করছেন কিন্ত নিজে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজে কুরবানির ব্যবস্থা করতে পারছেন না, তিনিও অন্য কারো মাধ্যমে দেশের অন্য কোথাও দায়িত্ব দিয়েও কুরবানির ব্যবস্থা করতে পারবেন। তারপরও কুরবানির এ গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ইবাদতটি যথাযথ মর্যাদায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা লাভে করতে হবে। হালাল বাজারের মাধ্যমে গরীব এতিমদের সাথে হোক এবারের কুরবানি! বাংলাদেশিদের সকলের সুবিধার্থে হালাল বাজার টিম এ বছর কুরবানির সম্পূর্ণ দায়িত্ত্ব নিতে প্রস্তুত। পশুর হাটের ভিড়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি, কুরবানি আর মাংস প্রস্তুত এবং গরিবদের মধ্যে বিতরণের পুরো দায়িত্বটাই হালাল বাজারের কর্মীরা আপনার হয়ে পালন করবেন। আপনাকে হাটে যেতে হবে না, কশাই খুঁজতে হবে না, মাংস প্রস্তুতের ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকবেন। হালাল বাজার তার কর্মীদের যত্নসহকারে হালাল ভাবে কুরবানি প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে প্রশিক্ষন দিয়েছে। তারা স্বাস্থ্যকর গরু এবং ছাগল সরবরাহ করবে এবং এটাও নিশ্চিত করবে যে কুরবানির জবাইয়ের কাজটি যেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইসলামী উপায়ে দেওয়া হয়। আপনার প্রদত্ত নামে কুরবানী করার ছবি এবং ভিডিও সহ প্ৰমাণ আপনাকে প্রদান করা হবে। ঈদ উল আজহার দিনে.আপনার কুরবানি থেকে সমস্ত গোশত সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা অনুসরন করে বাংলাদেশের দরিদ্র, অভাবী এবং অনাথ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে করোনাকালীন এ সময়ে যথাযথভাবে কুরবানি করে তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের তাওফিক দান করুন। করোনাকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনার প্রতি লক্ষ্য রাখার তাওফিক দান করুন। করোনার অজুহাত দিয়ে কুরবানি না করে দান খয়রাত করে কুরবানি হক আদায় হয়ে গেছে মনে করা থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। বরংচ কুরবানী পালনের সাথে সাথে অতিরিক্ত দান করে গরিবদের সহায়তা করার তৌফিক দান করুক! আমিন। - https://halal-bazaar.com/ ... See more
হালাল বাজারের মাধ্যমে গরীব এতিমদের সাথে হোক এবারের কুরবানি!পশুর হাটের ভিড়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি, কুরবানি আর মাংস প্রস্তুত এবং গরিবদের মধ্যে বিতরণের পুরো দায়িত্বটাই আমাদের দিয়ে দিতে পারেন। হাটে যেতে হবে না, কশাই খুঁজতে হবে না, মাংস প্রস্তুতের ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকবেন। আমরা আমাদের কর্মীদের যত্নসহকারে হালাল ভাবে কুরবানি প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে প্রশিক্ষন দিয়েছি। তারা স্বাস্থ্যকর গরু এবং ছাগল সরবরাহ করবে এবং এটাও নিশ্চিত করবে যে কুরবানির জবাইয়ের কাজটি যেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইসলামী উপায়ে দেওয়া হয়। আপনার প্রদত্ত নামে কুরবানী করার ছবি এবং ভিডিও আপনাকে প্রদান করা হবে। .আপনার কুরবানি থেকে সমস্ত গোশত সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা অনুসরন করে বাংলাদেশের দরিদ্র, অভাবী এবং অনাথ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে করোনাকালীন এ সময়ে যথাযথভাবে কুরবানি করে তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের তাওফিক দান করুন। করোনাকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনার প্রতি লক্ষ্য রাখার তাওফিক দান করুন। করোনার অজুহাত দিয়ে কুরবানি না করে দান খয়রাত করে কুরবানি হক আদায় হয়েগেছে মনে করা থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। বরংচ কুরবানী পালনের সাথে সাথে অতিরিক্ত দান করে গরিবদের সহায়তা করার তৌফিক দান করুক! আমিন। - https://halal-bazaar.com/
হালাল বাজারের মাধ্যমে গরীব এতিমদের সাথে হোক এবারের কুরবানি! পশুর হাটের ভিড়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি, কুরবানি আর মাংস প্রস্তুত এবং গরিবদের মধ্যে বিতরণের পুরো দায়িত্বটাই আমাদের দিয়ে দিতে পারেন। হাটে যেতে হবে না, কশাই খুঁজতে হবে না, মাংস প্রস্তুতের ঝামেলা থেকেও মুক্ত থাকবেন। আমরা আমাদের কর্মীদের যত্নসহকারে হালাল ভাবে কুরবানি প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে প্রশিক্ষন দিয়েছি। তারা স্বাস্থ্যকর গরু এবং ছাগল সরবরাহ করবে এবং এটাও নিশ্চিত করবে যে কুরবানির জবাইয়ের কাজটি যেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইসলামী উপায়ে দেওয়া হয়। আপনার প্রদত্ত নামে কুরবানী করার ছবি এবং ভিডিও আপনাকে প্রদান করা হবে। .আপনার কুরবানি থেকে সমস্ত গোশত সামাজিক দূরত্ব নির্দেশিকা অনুসরন করে বাংলাদেশের দরিদ্র, অভাবী এবং অনাথ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে করোনাকালীন এ সময়ে যথাযথভাবে কুরবানি করে তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের তাওফিক দান করুন। করোনাকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতনার প্রতি লক্ষ্য রাখার তাওফিক দান করুন। করোনার অজুহাত দিয়ে কুরবানি না করে দান খয়রাত করে কুরবানি হক আদায় হয়েগেছে মনে করা থেকেও বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। বরংচ কুরবানী পালনের সাথে সাথে অতিরিক্ত দান করে গরিবদের সহায়তা করার তৌফিক দান করুক! আমিন। - https://www.halal-bazaar.com/
Thanks a lot for your your qurbani orders so far. We are arranging everything for the orders received. Due to huge demand we are extending the deadline until 26th July. Donate your Qurbani to poor people in Bangladesh with Halal Bazaar! All the meat from the Qurbani will be distributed primarily among the poor, needy and orphan people’s doorstep by following social distancing guideline. In addition to qurbani meat we will add grocery supply to help them in this pandemic situation. Your donation will bring joy to those in need of support, and allow them to enjoy the blessed days of Eid free from worrying about how they will feed their families.Give as many qurbani shares as you like! We will perform Qurbani in your name on behalf of you and distribute the meat with grocery supplies on the day of Eid-ul-Adha! Submit your Qurbani order order by 26th July, 2020: https://www.halal-bazaar.com/
1. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: "যে ব্যাক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।" 2. "মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্বরন করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। " __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 3. "প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 4. "যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 5. "যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 6. "তুমি যত সিজদা দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 7. "সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 8. "হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 9. "রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন: "কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।" (সহীহ মুসলিম :১৯৬) 11. "যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে, কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 12. "যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো। " __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।" (মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬) 14. নবীজি বলেছেন: "রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।" 15. "যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 16. রাসূল (সাঃ) বলেন: "যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যার্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।" (তিরমীজি-৫/৫০২) 17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন: "একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে, জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।" (বুখারীঃ৬০২৩) 18. "যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 19. "তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরেরদিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দিবে।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 20. "তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন, যারা ওযু কারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 21. "যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 22. "যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 23. "যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 24. "চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন: "জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।" (সহীহ মুসলিম -- ২৬০) 26. "যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 27. "তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: "তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ, যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন" 29. "সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 30. "মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 31. "যে অন্যের্য বাবা মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো।" __হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 32. রাসূল (সাঃ) বলেছেন: "আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।" 33. "মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো তাহলে মানুষ মৃত ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত।" _হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন: "সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।" (মুসলিম-৯১০) 35. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।" (আবু দাউদঃ-৪১০১) 36. "কবরের ভিতরের প্রথম চাপ পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে।" --হযরত মোহাম্মদ (সঃ) 37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন: "যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।" - সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ৯১ 38. "কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।" _হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 39. "নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।" _হযরর মুহাম্মদ (সাঃ) (আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ) 40. "কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্বরন করে।" __হযরর মুহাম্মদ (সাঃ) হে আল্লাহ্ আমাদের সঠিক জানার,বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করো.... আমিন ... See more
কুরবানী (اَلْأُضْحِيَّةُ) কুরবানীর ধারণা: কুরবানীর সমার্থক শব্দ ‘উদ্হিয়্যাহ’। এর আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায় জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য যে পশু জবাই করা হয়, তাকে কুরবানী বলে। বর্তমানে যে কুরবানী প্রথা প্রচলিত আছে, তা হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর সময় থেকে চলে আসছে। এটি আত্মত্যাগ ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অন্যতম মাধ্যম। এটি একটি উত্তম ইবাদত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কুরবানীর দিনে রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কাজ আল্লাহর নিকট আর কিছুই নেই। কুরবানী দাতা কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু শিং, ক্ষুর ও লোমসমূহ নিয়ে হাজির হবে। কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই তা আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার স্থানে পৌঁছে যাবে। অত:এব তোমরা কুরবানীর দ্বারা নিজেদেরকে পবিত্র কর।” (তিরমিযি শরীফ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।” (ইবনু মাজাহ শরীফ) কুরবানীর ঐতিহাসিক পটভূমিঃ হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তায়ালা বহুবার বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছেন। সকল পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবার তিনি এক অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হলেন। একরাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানী করতে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে আদেশ করছেন। বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র সন্তান ইসমাঈল অপেক্ষা অধিকতর প্রিয় আর কি হতে পারে? অনেক চিন্তাভাবনা করে তিনি শেষ সিন্ধান্তে পৌঁছলেন, আল্লাহ তায়ালা যাতে খুশি হন তাই তিনি করবেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আস সফ্ফাত এর ১০২নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْ٘ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْ٘ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرٰيﵧ قَالَ يٰ٘اَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُﵟ سَتَجِدُنِيْ٘ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ. অর্থ: “অত:পর যখন তিনি (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম) তাঁর (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) এর সাথে কাজ করার উপযুক্ত হলেন, তখন (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার পুত্র! আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি। এখন তুমি দেখ তোমার অভিমত কী? (হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম) বললেন, হে আমার পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ চাহেতো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।” ছেলের এ সাহসিকতাপূর্ণ উত্তর পেয়ে নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম খুব খুশি হলেন। আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর গলায় ছুরি চালালেন। এবারের পরীক্ষাতেও হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উত্তীর্ণ হলেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আস সফ্ফাত এর ১০৪ ও ১০৫নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- وَنَادَيْنٰهُ اَنْ يّٰ٘اِبْرٰهِيْمُ. ﶫقَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَاﵐ. অর্থ: “তখন আমি তাকে আহবান করে বললামঃ হে ইবরাহীম! তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে।” আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে জান্নাত থেকে একটি দুম্বা এনে ইসমাঈল-এর জায়গায় ছুরির নীচে শুইয়ে দিলেন। হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর পরিবর্তে দুম্বা কুরবানী হয়ে গেল। এ অপূর্ব ত্যাগের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তখন হতে কুরবানী প্রথা চালু হয়েছে। এটি আজ মুসলিম সমাজে একটি পবিত্র ধর্মানুষ্ঠানরূপে স্বীকৃত। কুরবানীর নিয়মাবলি ও বিধিবিধানঃ ০১. জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ ফজর হতে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক (সাহিবে নিসাব) হয়, তবে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। ০২. জিলহজ্ব মাসের ১০, ১১ এবং ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন কুরবানীর সময়। এ ৩ দিনের যেকোনো দিন কুরবানী করা যায়। তবে প্রথম দিন কুরবানী করা উত্তম। ০৩.ঈদুল আযহার নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। নামায আদায়ের পর কুরবানী করতে হবে। ০৪. সুস্থ, সবল ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, মহিষ, উট ইত্যাদি গৃহপালিত পশু দ্বারা কুরবানী করতে হবে। গরু, মহিষ এবং উটে ১ হতে ৭ জন পর্যন্ত শরিক হয়ে কুরবানী করা যায়। ০৫.কুরবানীর ছাগলের বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর হতে হবে। দুম্বা ও ভেড়ার বয়স ছাগলের বয়সের মতো। তবে ৬ মাসের বেশী বয়সের দুম্বার বাচ্চা যদি এরূপ মোটা তাজা হয় যে, ১ বছরের অনেকগেুলো দুম্বার মধ্যে ছেড়ে দিলে চেনা যায় না, তবে সেরূপ বাচ্চা দিয়ে কুরবানী জায়েজ। কিন্তু ছাগলের বাচ্চার বয়স ১ বছর না হলে কুরবানী জায়েজ হবে না। ০৬.কুরবানীর গোশত সাধারণত ৩ ভাগ করে ১ ভাগ গরিব ও মিসকিনকে, ১ ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দিতে হবে এবং ১ ভাগ নিজের জন্য রাখা উত্তম। ০৭. নিজ হাতে কুরবানী করা উত্তম। ০৮.কুরবানীর প্রাণী দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে কিবলামুখী করে, ধারালো অস্ত্র দ্বারা ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানদের উচিৎ কুরবানীর সময় একাগ্রতার সাথে উত্তম পশু কুরবানী করা। তাতে তাঁরা অনেক ছাওয়াব পাবে। পরস্পরের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়বে এবং হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষাঃ কুরবানী বলতে শুধু গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা ইত্যাদি জবাই করাই বোঝায় না। বরং এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন বোঝায়। কুরবানী আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ ঘোষণা করেন যে, তাদের কাছে নিজ জানমাল অপেক্ষা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মূল্য অনেক বেশি। তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে এর রক্ত প্রবাহিত করে আল্লাহর কাছে শপথ করে বলে, “হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেভাবে পশুর রক্ত প্রবাহিত করছি, প্রয়োজনে আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত করতেও কুন্ঠিত হব না।” কে কত টাকা খরচ করে পশু ক্রয় করেছে, কার পশু কত মোটাতাজা, কত সুন্দর আল্লাহ তায়ালা তা দেখতে চান না। তিনি দেখতে চান কার অন্তরে কতটুকু আল্লাহর ভালোবাসা ও তাকওয়া আছে। পবিত্র কুরআনের সূরা আল হাজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- لَنْ يَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوْمُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلٰكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوٰي مِنْكُمْﵧ. অর্থ: “কখনো আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না এগুলোর গোশত এবং রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।।” আত্মত্যাগ ও আত্মসমার্পনের মূর্তপ্রতীক ছিলেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। মানুষের জীবনে এ শিক্ষা গ্রহন করলে তারা হয়ে উঠবে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল, পরোপকারী ও আত্মত্যাগী। আত্মত্যাগী মানুষই সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। নিজের সুখ-শান্তির বাইরে যারা সমাজের মানুষের সুখকে বড় করে দেখে, তারাই প্রকৃত মানুষ। কুরবানীর ত্যাগের শিক্ষা আমাদেরকে পরোপকারে উৎসাহিত করবে ও মানবতাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটাবে। ... See more
Donate your Qurbani to poor people in Bangladesh with Halal Bazaar! All the meat from the Qurbani will be distributed primarily among the poor, needy and orphan people’s doorstep by following social distancing guideline. In addition to qurbani meat we will add grocery supply to help them in this pandemic situation. Your donation will bring joy to those in need of support, and allow them to enjoy the blessed days of Eid free from worrying about how they will feed their families.Give as many qurbani shares as you like! We will perform Qurbani in your name on behalf of you and distribute the meat with grocery supplies on the day of Eid-ul-Adha! Submit your Qurbani order order by 30th June, 2020: https://www.halal-bazaar.com/